দুর্নীতিমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়তে গুরুত্বপূর্ণ ১১টি প্রস্তাবনা :
শত শত তরতাজা প্রাণের বিনিময়ে এবং হাজার হাজার ছাত্র জনতা আহত, পুঙ্গুত্ব ও অন্ধত্ব বরনের মাধ্যমে আমরা ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়েছি। সকলের মতে আমরা দ্বিতীয়বার স্বাধীনতা লাভ করেছি। ফলশ্রুতিতে দেশে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। প্রত্যেকেই আমরা একটি বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশের প্রতীক্ষায়। বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিন্মোক্ত পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করা সময়ের দাবি বলে মনে-প্রানে বিশ্বাস করি:
১) কোটি বেকারের কর্মসংস্থান ত্বরান্বিত করুন।
২) আইন, বিচার ও শাসন বিভাগের সর্বক্ষেত্রে ছাত্র-জনতার অংশগ্রহণ ও প্রহরা নিশ্চিত করুন।
৩) ফ্যাসিবাদের দোসর ও দলীয় ক্যাডারদের দ্রুত অপসারণের মাধ্যমে বৈষম্যের শিকার যোগ্যদের নেতৃত্ব ফিরিয়ে দিন।
৪) অরাজকতাকারী ও অপরাধী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় আনুন।
৫) সংবিধানের যৌক্তিক জনবান্ধব সংশোধন ও সকল কালো আইন বাতিলের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের দ্বার চিরতরে রুদ্ধ করুন।
৬) সংখ্যালঘুদের ওপর হামলাকারীদের আসল চেহারা জাতির সম্মুখে উন্মোচন করুন এবং প্রকৃত ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করুন।
৭) লেখাপড়ার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রাবাসগুলিকে রাজনীতিমুক্ত করুন এবং কেবলমাত্র মেধার ভিত্তিতে সিট বরাদ্দ দিন।
৮) আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সকল স্তরকে জনবান্ধব এবং দলীয় ক্যাডার মুক্ত করুন।
৯) দ্রব্যমূল্য ও সেবার মান নিশ্চিত করতে ব্যবসা ক্ষেত্রে সিন্ডিকেট গুড়িয়ে দিন।
১০) দেশি ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীদের রুখে দিতে সদা তৎপর থাকুন এবং আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক তৎপরতা বৃদ্ধি করুন।
১১) সকল রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরে গণতন্ত্রের চর্চা নিশ্চিত করুন অন্যথায় তাদেরকে অগণতান্ত্রিক দল ঘোষণা করে নিবন্ধন বাতিল করুন।
-মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক (এডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট)