আপডেট

Paragraph about 'Causes of Failure in English' for all classes

কুরআ‌নের পাখি আল্লামা সাঈদী রহ.- এর কিছু ঐতিহাসিক উ‌ক্তি!

আত্নতত্ত্ব যে জেনেছে, দিব্যজ্ঞানী সেই হয়েছে!

একনজরে সাইয়্যেদ আবুল আ'লা মওদুদী (রহঃ) | About Sayed Abul Ala Maududi

এ ডি আর এস: বাঙালীদের নতুন প্রযুক্তি | এ ডি আর এস কি ? | ADRS System in cricket

বিপ্লবীদের গুপ্তহত্যা ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিআইইউ শিক্ষার্থীরা

সাকিব আর বিতর্ক যেন একই সুত্রে গাঁথা | বিপিএলে সাকিব বিতর্ক | শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে শাস্তি !

'যে কথা বলতে মানা': এডভোকেট সাজজাদুল ইসলাম রিপন

ড. ইউনুসকে প্রধান উপদেষ্টা দেওয়া কতটুকু যুক্তিসঙ্গত?

হাঙ্গেরির ডেব্রেসেন বিশ্ববিদ্যালয় স্কলারশিপ | হাঙ্গেরি ফুল-ফ্রী স্কলারশিপ-২০২৩| Hungary Scholarship-2023

রোজা ভঙ্গের কারণসমূহ | রোজা ভঙ্গের কারণগুলো কী?

রোজা ভঙ্গের কারণসমূহ

রোজা ভঙ্গের কারণসমূহ | রোজা ভঙ্গের কারণগুলো কী?

১-রোজার কথা স্মরণ থাকা সত্বেও স্বেচ্ছায় পানাহার করলে রোজা নষ্ট হয়ে যাবে। তবে ভুলে কিছু খেয়ে ফেলে রোযা নষ্ট হবে না। কেননা রাসূল সা. বলেছেন,

من نسي وهو صائم فأكل أو شرب فليتم صومه فإنما أطعمه الله وسقاه

"রোজা অবস্থায় যে ব্যক্তি ভুলে পান করবে অথবা আহার করবে সে যেন তার সিয়াম পূর্ণ করে। কেননা আল্লাহ তাআলাই তাকে পানাহার করিয়েছেন।" (বুখারী, মুসলিম)।

তবে কেউ যদি ভুলে খাওয়ার পর রোজা ভঙ্গ হয়ে গেছে মনে করে ইচ্ছে করে কিছু খেয়ে ফেলে তাহলে রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে এবং তাকে কাজা আদায় করতে হবে।

২-স্বেচ্ছায় বমি করলে রোজা নষ্ট হয়ে যাবে। তবে যদি অনিচ্ছাকৃতভাবে বমি হয় তাহলে রোজা নষ্ট হবে না। এ ক্ষেত্রে কোনো মতবিরোধ নেই। হাদীস শরীফে এসেছে,

من ذرعه وهو صائم فليس عليه قضاء وان استقاء فليقض

"কারো যদি মুখ দিয়ে অনিচ্ছাকৃত বমি আসে তাহলে তার ওপর কাজা নেই। আর কেউ যদি স্বেচ্ছায় বমি করে, তাহলে সে যেন কাজা আদায় করে।" (সহীহ আবু দাউদ, তিরমিযি ও ইবনে মাজাহ)

 রোজা ভঙ্গের কারণসমূহ | রোজা ভঙ্গের কারণগুলো কী?

৩-স্বেচ্ছায় বীর্যপাত ঘটালে। অর্থাৎ মিলন ব্যতীত অন্য কোনো উপায়ে রোজার কথা স্মরণ থাকা সত্ত্বেও বীর্যপাত ঘটালে রোজা নষ্ট হবে এবং তাকে কাজা আদায় করতে হবে । আর রোজার কথা স্মরণ থাকা সত্ত্বেও স্বামী স্ত্রী সহবাস করলে রোজা তো নষ্ট হবেই এবং শুধু কাযা আদায় করলে হবেনা, কাফফারাও দিতে হবে।

৪-হায়েজ-নেফাছ শুরু হলে রোজা নষ্ট হয়ে যাবে।

৫-রোজা রাখা অবস্থায় কেউ ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করলে রোজা নষ্ট হয়ে যাবে।

৬-খাদ্যের কাজ করে এমন ইনজেকশন নিলে রোজা নষ্ট হয়ে যাবে।

৭-রাত আছে মনে করে সুবেহ সাদিকের পরে খাওয়া-দাওয়া করলে কিংবা সূর্য ডুবে গেছে মনে করেন সূর্যাস্তের পূর্বে ইফতার করলে রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে।

৮-কোনো কোনো বিদ্বানদের মতে সিয়ামরত অবস্থায় কোনো ব্যক্তি যদি সিয়ামের জ্ঞান থাকা সত্ত্বেও সিয়াম ভেঙ্গে ফেলার দৃঢ় অভিপ্রায় ব্যক্ত করে, তাহলে তার সিয়াম বাতিল হয়ে যাবে, যদিও সে পানাহার না করে। (আল মুহাল্লা, ৬/১৭৫; আল মুগনি, ৩/২৫)।

উল্লেখিত কারণসমূহের কারণে রোজা ভেঙে যেতে পারে। তাই রোজা পালনের ক্ষেত্রে আমাদের উক্ত বিষয় গুলো থেকে সতর্ক থাকতে হবে।

শায়খ আসলাম হোসাইন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম