রোযা ফরয হওয়ার হিকমত কী? সিয়াম ফরয হওয়ার হিকমত কী?

রোযা ফরয হওয়ার হিকমত কী? প্রশ্নের উত্তরে, বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফহিক শায়খ মুহাম্মদ সালিহ আল-উসাইমিন (রহ.) নিম্ন লিখিত উত্তরটি প্রদান করেন। 

রোযা ফরয হওয়ার হিকমত কী?

উত্তর: পবিত্র কুরআনের নিম্নলিখিত আয়াত পাঠ করলেই আমরা জানতে পারি। যে, রোযা ফরয হওয়ার হিকমত কী? আর তা হচ্ছে তাকওয়া বা আল্লাহভীতি অর্জন করা ও আল্লাহর ইবাদত করা। 


মহান আল্লাহ বলেন, “হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোযা ফরয করা হয়েছে, যেমন ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর। যাতে করে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পার।” (সূরা বাকারা: ১৮৩)


তাকওয়া হচ্ছে হারাম কাজ পরিত্যাগ করা। ব্যাপক অর্থে তাকওয়া হচ্ছে, আল্লাহর নির্দেশিত বিষয় বাস্তবায়ন করা, তাঁর নিষেধ থেকে দূরে থাকা। 


নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “যে ব্যক্তি (রোযা রেখে) মিথ্যা কথা, মিথ্যার কারবার ও মূর্খতা পরিত্যাগ করল না, তার খানা-পিনা পরিহার করার মাঝে আল্লাহর কোনো দরকার নেই।” (সহিহ বুখারী)


অতএব এ কথা নিশ্চিত হয়ে গেল যে, রোযাদার যাবতীয় ওয়াজিব বিষয় বাস্তবায়ন করবে এবং সবধরনের হারাম থেকে দূরে থাকবে। মানুষের গীবত করবে না, মিথ্যা বলবে না, চুগলখোরী করবে না, হারাম বেচাকেনা করবে না, ধোঁকাবাজি করবে না। মোটকথা চরিত্র ধ্বংসকারী অন্যায় ও অশ্লীলতা বলতে যা

বোঝায় সকল প্রকার হারাম থেকে সে বিরত থাকবে। আর একমাস এভাবে চলতে পারলে বছরের অবশিষ্ট সময় সঠিক পথে পরিচালিত হওয়া সহজ হবে। ইনশাআল্লাহ। 


কিন্তু আফসোসের বিষয় অধিকাংশ রোযাদার রমযানের সাথে অন্য মাসের কোনো পার্থক্য করে না। অভ্যাস অনুযায়ী ফরয কাজে উদাসীনতা প্রদর্শন করে, হালাল-হারামে কোনো পার্থক্য নেই। তাকে দেখলে বোঝা যাবে না যে, তার মধ্যে সিয়ামের মর্যাদার কোনো মূল্য আছে। অবশ্য এ সমস্ত বিষয় রোযাকে ভঙ্গ করে দিবে না। কিন্তু নিঃসন্দেহে তার সওয়াব বিনষ্ট করে দিবে।

-ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম

তাই আমাদের রোজার হাকিকত ও রোযা ফরয হওয়ার হিকমত সম্পর্কে ভালো ভাবে জানা ও এ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা খুবই জরুরী। নতুবা রোজার প্রকৃত রহমত ও ফজিলত থেকে আমরা বঞ্চিত হবো। আল্লাহ তায়া’লা আমাদের রোজার হাকিকত সম্পর্কে জানার তৌফিক দান করুন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম