১৯৭৪ সন, দেশ জুড়ে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদের তান্ডব চলছে। ধর্মনিরপেক্ষ সরকার প্রস্তুতি নিচ্ছে আল্লামা সাঈদীকে গ্রেফতার করে তাঁর কন্ঠ স্তব্ধ করবে, অপরদিকে নাস্তিকরা সুযোগ খুঁজছে তাঁকে হত্যা করার। চারদিকে নাগিনরাও বিষ নিঃশ্বাস ফেলছে - আল্লামা সাঈদী তা অনুভব করছেন। যে কোনো সময় তাকে হত্যা করা হতে পারে, এটা তাঁর অজানা নয়।
চরম এই পরিবেশে পাবনা শহরের অদূরে পুষ্পপাড়া আলিয়া মাদরাসায় তাফসির মাহফিলের আয়োজন করা হলো৷ সেখানে প্রধান অথিতি থাকবেন আল্লামা সাঈদী রহ.।
একদিকে মহান আল্লাহর কুরআন প্রেমিক বান্দারা তাফসিরের আয়োজন করছেন, অপরদিকে ধর্মনিরপেক্ষ ঘাতকদের দল আল্লামা সাঈদীকে হত্যা করার ঘৃণ্য প্রস্তুতি গ্রহণ করছে ।
যথা সময় তাফসির মাহফিল অনুষ্ঠিত হলো। অগণিত মানুষের ঢল নামলো তাফসির মাহফিলে। সিন্ধান্ত হলো, মাহফিল শেষ করে আল্লামা সাঈদী পাবনা শহরে চলে যাবেন এবং সেখানে রাত যাপন করবেন। কিন্তু মাহফিল কর্তৃপক্ষের অনুরোধে তিনি আহার এখানে করলেন এবং মাদরাসার প্রধান মুহাদ্দিসের কক্ষে আহারে বসলেন৷ তাঁর সাথে মাদরাসার প্রধান মুহাদ্দিস নুরুল্লাহ সাহেবসহ আরো অনেকেই রয়েছেন। কিছু লোক গেলেন গাড়ি আনতে। গাড়ি আসলেই তিনি পাবনা শহরের দিকে রওয়ানা দিবেন।
আহার শেষ হতেই হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে গেলো। চারদিকে নিকষ অন্ধকার নেমে এলো। ইতিমধ্যেই আল্লামা সাঈদীকে জানানো হলো গাড়ি এসে গেছে। তিনি অন্ধকারেই অনুমানে দরজার দিকে অগ্রসর হচ্ছেন আর ধর্মহীন ঘাতকদের দল তাঁকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে দরজার কাছে এগিয়ে আসছে। চারদিকে গাঢ় অন্ধকার৷ নিজের শরীর পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না। আল্লামা সাঈদী অনুভব করলেন, কয়েকজন লোক তাঁকে ধাক্কা দিয়েই দরজার দিকে এগুচ্ছে। তারপর অনুভব করলেন, তাঁর পাশ থেকেই গুলি ছোড়া হচ্ছে। তিনি দ্রুত এগিয়ে গিয়ে গাড়ীতে উঠলেন এবং পাবনায় চলে গেলেন।
লেখক- শায়খ আসলাম হোসাইন,
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া থেকে আল-হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন।
MashAllah
উত্তরমুছুন