২০০১ সালে চট্টগ্রামে একটি তাফসির মাহফিলের আয়োজন করে কুরআনের সৈনিকরা। কিন্তু যে প্যারেড ময়দানে তাফসির হবে, সে ময়দান ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী সন্ত্রাসীরা দখল করে ঘোষণা দেয়, এখানে তাফসির করতে দেওয়া হবে না।
গোটা চট্টগ্রামের পুলিশবাহিনীকে ইসলামপ্রিয় জনতার পিছনে লেলিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ মসজিদে প্রবেশ করে নামাজরত মুসলামানদের ওপর আক্রমণ করে। ফলে অসংখ্য মুসল্লি আহত হয়। কেউ চিরতরে পঙ্গুত্ব বরণ করে। প্রায় শতাধিক মুসল্লিকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় সারাবিশ্বের মুসলমানগণ প্রচন্ড ক্ষোভে ফেটে পড়ে। বীর চট্টলার বীর জনতা সমুদ্রের গর্জনের ন্যায় গর্জে উঠে। তারাও সরকারকে হুশিয়ার করে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেয়, কুরআনের মাহফিল অনুষ্ঠিত হতে দেওয়া নাহলে গোটা চট্টগ্রামকে অচল করে দেওয়া হবে।
অবশেষে ইসলাম বিরোধী সরকার পিছু হটতে বাধ্য হয়। অতিতের যে কোনো সময়ের তুলনায় ২০০১ সালের সেই তাফসির মাহফিলে জনসমাগম হয় সবচেয়ে বেশি। দর্শকদের মতে দশ লাখের অধিক জনতা সেই তাফসিরে অংশগ্রহণ করেছিল। আল্লামা সাঈদী রহ. সেখানে বলিষ্ঠ কন্ঠে মহাগ্রন্থ আল কুরআন থেকে তাফসির পেশ করেছেন সেই তাফসির মাহফিলে। তাঁর হাতে হাত রেখে এই মাহফিলে আগত ৪০ জন অমুসলিম ইসলাম কবুল করে ধন্য হয়েছে।
লেখক- শায়খ আসলাম হোসাইন,
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া থেকে আল-হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন।