গত ঈদুল ফিতরের পরের দিন তায়েফ গিয়েছিলাম। মাসজিদে ইবনু আব্বাস রা, এর পাশে দেখলাম মেয়েরা খোলামেলা পোশাক পরে চুল ছেড়ে দিয়ে দলবেঁধে রাস্তায় হাঁটতেছে। তায়েফে অনেকবার গিয়েছি, ইতোপূর্বে তা কখনো দেখিনি।
মক্কার মেসফালা এলাকায় দেখলাম মাসজিদে হারামে জামায়াত চলাকালে রাস্তার পাশে দোকানে খোলা ও বেচাকেনা চলছে। যা আগে কল্পনাও করা যেত না।
ক্লক টাওয়ারে ২০২২ সালের রমজানেও দেখেছি দোকানদারগণ ইফতার করার পর ইকামাত শুরু হলে জামায়াতে নামাজ পড়ার জন্য জায়নামাজ হাতে নিয়ে সামনে এগিয়ে মার্কেটের ভীতরেই নামাজে দাঁড়িয়ে যেত। কেননা হারামের জামায়াত মার্কেট পার হয়ে সকল রাস্তাও পরিপূর্ণ হয়ে যেত। এবার দেখলাম ক্লল টাওয়ারে জামায়াত চলাকালে দোকান খোলা, জানতে চাইলে বললো- মার্কেটে মাইকের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে। এখন মাসজিদে হারামের আযানও শুনি না। জামায়াত হলেও টের পাই না।
২৯ এপ্রিল-২০২৩ দেশে ফেরার সময় জেদ্দা সমুদ্র সৈকতে গিয়েছিলাম। দেখি, সৈকতের রাস্তায় বোরকা বিহীন অসংখ্য নারী খোলা চুলে মাথায় ওড়না ছাড়া চলাফেরা করছে। যা দেখে চরম বিস্মিত হয়েছি। ১৮ বছর ধরে বিভিন্ন সময় সৌদি আরব যাচ্ছি, আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু এবার একটু বেশিই ভিন্নতা অনুভব করলাম।
রক্ষণশীল সৌদি আরবের মেয়েরা অর্ধ উলঙ্গ পোশাকে সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে, অর্ধ নগ্ন অবস্থায় কালেমার পতাকা হাতে নিয়ে কালেমার অবমাননা করবে, ভাবতেই কষ্ট হয়।
এটাই কি এমবিএস এর অত্যাধুনিক সৌদি আরব তৈরির পূর্বাভাস?
ইন্না-লিল্লাহ!!
হে রব! তোমার রাছূল সা, এর পবিত্র ভূমিকে তুমি অপবিত্র হতে দিও না। আমরা ধর্মীয় আবেশে গাম্ভীর্যপূর্ণ আগের কনজারভেটিব সৌদি আরব দেখতে চাই। আধুনিকতার নামে তাকওয়ার আবেশহীন নতুন সৌদি আরব দেখতে চাই না। দীনদারীর ক্ষেত্রে উদাহরণ দেয়ার মতো একটি দেশই তো ছিলো।
হে আরশের মালিক! তুমি আমাদের থেকে সেটা কেড়ে নিও না।
সৌদি আরবসহ বিশ্বের সকল দেশের আলেম- ওলামাকে আমাদের কলিজার টুকরা সৌদি আরবের ব্যাপারে যথাযথ ভুমিকা রাখার তাওফিক দাও। আমীন।
লেখক: শায়খ ড. আবুল কালাম আজাদ বাশার