প্রাত্যহিক জীবনে কিছু সুন্নাহ: মুহাম্মাদ মাসউদ বিন মুবাশ্বির

প্রাত্যহিক জীবনে কিছু সুন্নাহ

প্রাত্যহিক জীবনে কিছু সুন্নাহ | ঘুম থেকে ওঠার পরে পালনীয় সুন্নাহসমূহ:

১। ঘুম থেকে যখন চোখ খুলবে প্রথমে তিনবার আলহামদুলিল্লাহ এবং কালেমা তায়্যিবা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ পড়া। অতঃপর এই দোয়া পড়বে- 'আলহামদুলিল্লাহিল্লাযি আহয়ানা বা'দামা আমাতানা ওয়া ইলাইহিন নুশুর'অথবা অন্যান্য মাসনুন দোয়া পড়ে নেবে।

২। ঘুম থেকে ওঠে মিসওয়াক করে নেবে এবং বিসমিল্লাহ পড়ে দরজা খুলবে।

ঘর থেকে বের হয়ে এ দোয়া পড়বে- ‘বিসমিল্লাহি তাওয়াক্কালতু আলাল্লাহ, লা হাওলা ওয়ালা ক্বুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’

৩। শেষ রাতে ওঠে দু চার রাকাত তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার চেষ্টা করবে। এ সময় দোয়া কবুল হয়, আল্লাহ তায়ালা রিযিক প্রদান করেন এবং বান্দাদেরকে মাফ করে দেওয়ার জন্য নিজেই ডাকতে থাকেন। তাহাজ্জুদের সময় উঠে সুরা আলে ইমরানের ১৯০-২০০ আয়াতগুলো তিলাওয়াত করবে।

৪। সমস্ত নফল নামাজের মধ্যে তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত সবচেয়ে বেশি। তাই শেষ রাতে উঠতে না পারলে- উঠতে পারবে না বলে আশঙ্কা হলে- ঘুমানোর পূর্বে দু চার রাকাত পড়ে নেবে। এতে তাহাজ্জুদের সওয়াব পাবে ইন শা আল্লাহ। (যদিও শেষ রাতের তাহাজ্জুদের সমান হবে না, তবুও একেবারে ছেড়ে দেওয়া যাবে না।)

৫। নিজ গৃহে ওজু করবে এবং (ফজরের) সুন্নাত আদায় করে নেবে।

৬। ফজরের নামাজের পর ১৫/২০ পর্যন্ত নামাজের জায়গায় বা মসজিদের কোথাও নিরিবিলি বসে তিলাওয়াত, জিকির ও দরুদ শরীফ পড়তে থাকবে। অতঃপর দুই বা চার রাকাত এশরাকের নামাজ আদায় করবে। হাদীসে এসেছে- এ নামাজ আদায় করলে এক হজ্জ ও এক উমরার সওয়াব পাওয়া যায়।

প্রাত্যহিক জীবনে কিছু সুন্নাহ | রাত্রি যাপনের সুন্নাতসমূহ:

১। রাত হলে শিশুদেরকে ঘর হতে বের হতে না দেওয়া। হাদীসে আছে, ঐ সময় শয়তানের বাহিনী পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ প্রয়োজনে যদি বের হতে হয় তবে 'বিসমিল্লাহি তাওয়াক্কালতু আলাল্লাহ, লা হাওলা ওয়ালা ক্বুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ' দোয়া পড়ে নেবে। শিশুরা পড়তে না পারলে নিজেই পড়ে তাদের সাথে বের হবে।

২। সূর্যাস্তের সাথে সাথে বিসমিল্লাহ পড়ে দরজা বন্ধ করে নেওয়া উত্তম।

৩। সকাল সন্ধ্যার মাসনুন দোয়া সমূহ পড়া। সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াত নিজেও তিলাওয়াত করবে, শিশুদেরকেও পড়তে অভ্যস্ত করবে। 

৪। সুরা ওয়াকিয়া তিলাওয়াত করা। হাদীসে এসেছে- 'যে ব্যক্তি রাতের বেলা সুরা ওয়াকিয়া তিলাওয়াত করবে তাকে অভাব অনটন স্পর্শ করবে না'। 

৫। মিসওয়াক এবং ওজু করে ঘুমানো। ঘুমানোর পূর্বে প্রত্যেক চোখে তিনবার করে সুরমা লাগানো।

৬। এশার নামাজ পড়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ঘুমিয়ে পড়া। এশার পরে অযথা গল্পগুজব করা নিষেধ। ঘুমাতে বিলম্ব হলে ফজরের নামাজ কাজা হয়ে যেতে পারে। অবশ্য দীনি কথা বার্তা, ওয়াজ নসিহত,ব্যবসা বা চাকুরির কারণে জাগ্রত থাকা যাবে। 

৭। ঘুমানোর সময় বাতি নিভিয়ে দেওয়া। জ্বালিয়ে রাখলে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকে। বিশেষ প্রয়োজনে ডিম লাইট বা হারিকেন জ্বালিয়ে রাখতে পারে। চুলার আগুনও নিভিয়ে রাখবে।

৮। ঘুমানোর পূর্বে সমস্ত বাসনপত্র ঢেকে রাখা। কোনো পাত্র খোলা রাখা যাবে না। ঢাকার কিছু না থাকলে একটা কাঠের টুকরো বিসমিল্লাহ পড়ে পাত্রের উপর রেখে দেবে। বাসনপত্র খোলা রাখলে বিভিন্ন রোগের আশঙ্কা থাকে এবং শয়তান সুযোগ পেয়ে যায়।

৯। ঘুমানোর পূর্বে কাপড় বা চাদর দ্বারা বিছানা ঝেড়ে নেওয়া।

১০। ঘুমানোর পূর্বে প্রথমে আমানতু বিল্লাহি ও কালেমা তায়্যিবা পড়ে নেওয়া উত্তম। আয়াতুল কুরসি, চার ক্বুল, সুরা ফাতিহা ও দরুদ শরীফ পাঠ করে নেওয়া।

১১। ওজুর সাথে ঘুমানো সুন্নাত। শোয়ার সময় ডান কাত হয়ে ডান হাত গালের নিচে রেখে ঘুমানো সুন্নাত। শিয়র উত্তর দিকে হলে উত্তম, তখন চেহারা কিবলার দিকে থাকবে।

১২। ঘুমানোর পূর্বে 'আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমুতু ওয়া আহয়া' দোয়া পড়ে নেওয়া। (বা অন্যান্য মাসনুন দোয়া পড়ে নেবে।)

আরও পড়ুনঃ ব্যক্তিত্ববান হওয়ার সহজ কিছু উপায়

প্রাত্যহিক জীবনে কিছু সুন্নাহ | পানাহারের সুন্নাহসমূহ:

১। খানা খাওয়ার পূর্বে ও পরে হাত ধোয়ে নেওয়া, খানা খাওয়ার পূর্বে ও পরে কুল্লি করে নেওয়া।

২। কাপড়ের দস্তরখান বা রুমাল বিছিয়ে খানা খাওয়া সুন্নাত।

৩। খানার শুরুতে বিসমিল্লাহ পড়া। যদি খানার শুরুতে বিসমিল্লাহ পড়া না হয়, তবে শয়তান সে খানাতে শরীক হয় এবং খানার বরকত নষ্ট হয়ে যায়। খানার শুরুতে বিসমিল্লাহ পড়া ভুলে গেলে, খানার মাঝখানে যখনই স্মরণ হবে এ দোয়া পড়ে নেবে: ‘বিসমিল্লাহি আউয়ালাহু ওয়া আখিরাহ

৪। খানা খাওয়ার সময় উভয় হাঁটু বিছিয়ে অথবা উভয় হাঁটু খাড়া করে বসা অথবা এক পা মাটিতে ফেলে অপর পা খাড়া করে বসা সুন্নাত। প্রচলিত চেয়ার টেবিলে বসে খানা খাওয়া সুন্নাহ পরিপন্থী।

৫। খাওয়া বা পান করার সময় ডান হাত ব্যবহার করা। খানা খাওয়ার সময় আঙ্গুল চেটে খাওয়া।

৬। বিধর্মীদের মতো কিছু খেয়ে কিছু ফেলে দেওয়া ঠিক না। এতে খাদ্যের অপচয় হয়, যা বড়ই নিন্দনীয় ও গোনাহর কাজ।

৭। খানা খাওয়ার সময় কোনো লোকমা পড়ে গেলে তা উঠিয়ে পরিষ্কার করে খেয়ে নেওয়া, শয়তানের জন্য ফেলে না দেওয়া। খানা খাওয়ার পর যে খাদ্যদ্রব্য পড়ে যায় সেগুলোও উঠিয়ে খেয়ে নেওয়া (যদি পড়ে গিয়ে এমন নোংরা হয়ে যায়, যে খাওয়ার মতো না, তখন সেটা ফেলে দেবে।)

৮। হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খানা খাওয়ার পর ভেজা হাত নিজের মাথা, মুখমণ্ডল এবং দুই হাতের বাহুর উপর বুলিয়ে নিতেন। 

১০। খানা খাওয়ার পর এ দোয়া পড়া সুন্নাত: ‘আলহামদুলিল্লাহিল লাজি আত্বয়ামানা ওয়া সাক্বানা ওয়া জায়ালানা মিনাল মুসলিমীন’  ইত্যাদি মাসনুন দোয়াসমূহ পড়ে নেবে।

১১। খানা খাওয়ার সময় বাসন, পেয়ালা, বরতন প্লেট আঙ্গুল দ্বারা মুছে পরিষ্কার করে খেয়ে নেওয়া। এতে বরতন ঐ ব্যক্তির জন্য দোয়া করে এবং অগণিত সওয়াব লাভ হয়।

১২। পান করার সময় সুন্নাত হলো: ডান হাতে পান করা, তিন শ্বাসে পান করা এবং আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা। পানি মুখে দেওয়ার পূর্বে বিসমিল্লাহ পড়া এবং পান করার পর আলহামদুলিল্লাহ পড়া সুন্নাত।

১৩। কোনো খবারে ত্রুটি তালাশ না করা। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অভ্যাস ছিল, কোনো খাবারের ত্রুটি তালাশ করতেন না; পছন্দ হলে খেতেন, না হলে খেতেন না।

প্রাত্যহিক জীবনে কিছু সুন্নাহ | পোশাক পরিচ্ছদে সুন্নাহসমূহ:

১। সাদা রঙের পোশাক পরিধান করা। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাদা রঙের পোশাক বেশি পছন্দ ছিল, তবে কালো রঙের পোশাকও পরিধান করতেন।

২। হাঁটুর নিচ পর্যন্ত লম্বা পোশাক রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বেশি পছন্দ করতেন।

৩। পাগড়ি পরিধান করা। পাগড়ি পরে যে নামাজ আদায় করা হয়, তার সওয়াব সত্তর গুণ বেশি হয়। কালো পাগড়ি পরিধান করা সুন্নাত।

৪। নতুন কাপড় পরিধান করার সময় 'আলহামদুলিল্লাহিল লাযি কাছানি হাযা' দোয়া পাঠ করা

৫। জামা কাপড় পরতে ডান দিক থেকে পরিধান করা। জুতা পরতে প্রথমে ডান দিকের জুতা পরিধান করা। কাপড় জুতা খুলতে বিসমিল্লাহ পড়ে বাম দিক থেকে খোলা।

৬। লুঙ্গি পায়জামা টাখনুর উপরে পরিধান করা। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি লুঙ্গি পায়জামা টাখনুর নিচে ঝুলিয়ে রাখবে, আল্লাহ তায়ালা তার প্রতি রহমেত দৃষ্টি দিবেন না।

৭। টুপি পরিধান করা সুন্নাত। পাগড়ি পরলেও পাগড়ির নিচে টুপি পরতে হবে। টুপি ছাড়া পাগড়ি পরা সুন্নাহ পরিপন্থী।

৮। মহিলাদের জন্য লম্বা আস্তিনওয়ালা জামা পরিধান করা জরুরি। কনুই পর্যন্ত হাতা বিশিষ্ট কামিজ ও যে কাপড় পরলে শরীর দেখা যায়, এমন কাপড় পরা শক্ত গোনাহের কাজ। হাদীসে এসেছে- এ ধরনের স্ত্রীলোকদেরকে কেয়ামতের দিন এমন ভাবে উঠানো হবে যে তাদের পরিধানে কোনো কাপড় থাকবে না। (আল্লাহ ক্ষমা করুন) 

৯। ঘরের বাইরে বেরুতে মহিলাদের জন্য সুঘ্রাণ ব্যবহার করা যাবে না। হাদীসে আছে, যে মহিলা সুঘ্রাণ ব্যবহার করে পর পুরুষের নিকট দিয়ে অতিক্রম করে সে যিনাকারিনী। তবে ঘরের মধ্যে মহিলাদের সুঘ্রাণ ব্যবহার করা যাবে। পুরুষের  সৌন্দর্য হলো এমন বস্তু যাতে সুঘ্রাণ থাকবে কিন্তু রঙের প্রকাশ থাকবে না। মহিলাদের সৌন্দর্য হলো এমন বস্তু যাতে রঙের প্রকাশ থাকবে কিন্তু সুগন্ধির আধিক্য থাকবে না।

১০। মাথার চুল মাঝে মধ্যে ধৌত করা এবং চিরুনি দিয়ে আঁচড়ানো সুন্নাত।

১১। মাথার চুল মুণ্ডিয়ে ফেলা সুন্নাত। আর যদি রাখতেই হয়, তাহলে কানের অধিক পর্যন্ত বা কানের লতি পর্যন্ত কিংবা কাঁধ সমান রাখা সুন্নাত। বস্তুত, একদিকের কিছু চুল কামিয়ে ফেলা আর অন্যদিকের কিছু চুল রেখে দেওয়া হারাম।

১২। মেহেদী ও তেলের সাহায্য কলপ লাগানো যেতে পারে। কিন্তু সম্পূর্ণ কালো কলপ লাগানো মাকরূহ।

১৩। দাড়ি লম্বা রাখা ও গোঁফ ছোট করা সুন্নাত। দাড়ি কেটে ফেলা ও কামিয়ে ফেলা একেবারেই হারাম।

১৪। নখ কাটা, বগলের পশম উপড়ানো এবং নাভির নিচের পশম ইত্যাদি ছাফ করা। চল্লিশ দিনের বেশি বিলম্ব করা মাকরূহ।

প্রাত্যহিক জীবনে কিছু সুন্নাহ|বিবাহ শাদীতে সুন্নাহসমূহ:

১। শাওয়াল মাসে ও জুমার দিনে বিবাহ করা এবং মসজিদের মধ্যে বিবাহ করা সুন্নাহ।

২। বিবাহ সাদাসিধে ও অনাড়ম্বর হওয়া উচিত। অধিক কৃত্রিমতা ও অতিরিক্ত খরচপাতি না হওয়া উচিত। বিয়েতে খরচ যত কম, যত সাদাসিধে হবে তত বেশি বরকত লাভ হবে।

৩। বিবাহের পর খেজুর বা খোরমা বন্টন করে দেওয়া। খেজুর ছিটিয়ে দেওয়াও সুন্নাহ।

৪। বর কনের জন্য এই দোয়া করা- ‘বারাকাল্লাহু লাকুমা ওয়া বারাকা আলাইকুমা ওয়া জামায়া বাইনাকুমা ফি খাইর’।

৫। বিয়ের পরের দিন স্বামীর বাড়িতে ওলিমা করা সুন্নাত। এতো বড়সড় করে দরকার নেই, ছোট্ট পরিসরে কয়েকজন গরিব মিসকিন, আত্মীয়স্বজনদের দাওয়াত করে ওলিমার নিয়্যাতে খায়াবে, এতেই সুন্নাত আদায় হয়ে যাবে।

প্রাত্যহিক জীবনে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাহ জেনে নেই আসুন:

১। সালাম করা। সালাম একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাহ। পরিচিত অপরচিত প্রত্যেক মুসলামনকে সালাম করা উচিত। সালাম এক মুসলমানের উপর আরেক মুসলমানের হক এবং ইসলামের চমৎকার সুন্দর শিষ্টাচার।

২। কেউ সালাম করলে সালামের জবাব দেওয়া ওয়াজিব। মনে রাখা দরকার, সালাম করা সুন্নাহকিন্তু সালামের জবাব দেওয়া ওয়াজিব। 

৩। সালাম করতে বা সালামের জবাব দিতে হাত তুলা যাবে না। হাদীসে এটাকে ইয়াহুদী ও নাসারাদের আচরণের সাথে তুলনা করা হয়েছে। কাজেই এটা পরিহার করা চাই।

৪। পা স্পর্শ করে সালাম করা হারাম। এটা হিন্দুদের শিষ্টাচার। যা মুসলামান কখনোই করতে পারবে না।

৫। শিশুদেরকেও সালাম করা সুন্নাহ। হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন শিশুদের নিকট দিয়ে অতিক্রম করতেন, তখন তাদেরকে সালাম করতেন।

৬। হাঁচির জবাব দেওয়া। হাঁচি দিলে আলহামদুলিল্লাহ পড়া। আলহামদুলিল্লাহ পড়া অন্যকেউ শুনলে সে 'ইয়ারহামুকাল্লাহ' বলে জবাব দেওয়া এবং হাঁচিদাতা বলবে 'ইয়াহদিকুমুল্লাহু ওয়া য়ুসলিহু বালাকুম'। এটা যেমন সুন্নাত তেমনি এক মুসলমানের উপর আরেক মুসলমানের জরুরি হক।

(দ্রষ্টব্য: গুলজারে সুন্নাত, লেখক, মাওলানা সাইয়েদ আসগার হোসাইন ৬৬-৮০)

লেখকঃ মুহাম্মাদ মাসউদ বিন মুবাশ্বির। শিক্ষার্থী, উচ্চতর ইসলামি আইন ও গবেষণা বিভাগ, জামিয়া ইসলামিয়া দারুলউলুম কানাইঘাট, সিলেট।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম