রাষ্ট্রের বিধ্বস্ত ব্যারিকেড! রাষ্ট্রের মাথায় বাঁজ পড়ে গেলো টনক নড়ে গেলো ততদিনে জনতার বুকে দু'বেলা দু'মুঠো খেতে পারলেই আমরা অনেক ভালো থাকি। আমাদের আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখা বোকামি বর্তমান প্রেক্ষাপটে।
অন্যদের সাথে নিজেদের তুলনা করে দিনের পর দিন জনগণের উপর যে নির্মমতা করে বেড়াচ্ছে এই রাষ্ট্র, তার শেষ কি? তা আমাদের অনেকটাই অজানা। আমরা স্টেশনের মূল ঠিকানা না জেনেই ছুটে চলেছি দূর্বার। আমাদের এই ছুঁটে চলাটা আমাদের জন্য কতটুকু ভালো ফলাফল বয়ে আনবে সেটা আদৌও কি রাষ্ট্র জানে? হয়তোবা না।
এই রাষ্ট্র সরকার বর্তমান প্রেক্ষাপটে জনগনের রক্ত চুষে খাচ্ছে। আজকে রাষ্ট্রের বিধ্বস্ত ব্যারিকেড এ দেশের জনগন প্রত্যেকটা জায়গায় ব্যারিকেড। নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতি কিন্তু জনগনের যেন হা করে তাকিয়ে থাকা ছাড়া কিছুই করার নেই। জনগন রাষ্ট্রের মালিক হওয়া সত্ত্বেও সমগ্র জাতি আজ তাদের রক্ত কেনা স্বাধীন রাষ্ট্রের বিধ্বস্ত ব্যারিকেড এ আটকা পড়ে দিনের পর দিন মৃত্যুর প্রহর গুনছে।
আমাদেরকে উন্নয়নের কথা বলে নিতান্তই ধ্বংসস্তুপে পরিনত করছে। এতো এতো উন্নয়ন হওয়ার পরেও যখন শুনতে হয় সারাদিন রিক্সা চালিয়ে বাসায় গিয়ে ছেলেমেয়ের ইচ্ছা না পূ্রণ করার হাজারো অজুহাত।পিতাদের সারাদিন পরিশ্রম করার পরেও যখন সংসারের চাহিদা মিটানোর সক্ষমতা থাকেনা, সেখানে এতো এতো মেগা প্রজেক্টের কি দরকার?
যেখানে ভবিষ্যত পরিকল্পনার জন্য প্রত্যেকটা জনগনের সঞ্চয় থাকা দরকার সেখানে প্রতিনিয়ত শুনতে হচ্ছে আমার রাষ্ট্রের হাহাকার! কতটুকুই বা মজুদ করেছে জনস্বার্থে? এতোদিন মানুষের মাথা চিবিয়ে খাওয়া রাষ্ট্র, এখন নিজেই নিজের মাথা চিবিয়ে খাচ্ছে। যেখানে জনগণের সাথে রাষ্ট্রের কোনো দায়বদ্ধতা নাই, সেখানে হয়তোবা আমার এই লিখাগুলো মূল্যহীন।
রাষ্ট্র সচল আছে কিনা সেটা নিয়েই তো এখন নানা গুঞ্জন এই রাষ্ট্রের বিধ্বস্ত ব্যারিকেড আমাদের জন্য কি নিয়ে আসছে তা অজানা রাষ্ট্রের সচলতা কি ধরে রাখতে পারবে?এটাই হচ্ছে আমাদের দেখার বিষয়। আর কতটুকু যাবে আমাদের এই স্বাধীন রাষ্ট্রের পথচলা? বর্তমান প্রক্ষাপটে আমাদের জন্য কি অপেক্ষা করছে তা দেখার বিষয় তারপর ও বলবো আমাদেরকে সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে, দিনশেষে এই মাটি আমাদের, তাই আমাদেরই রক্ষা করতে হবে।
মোঃ জুবায়ের আহমেদ
আইন বিভাগের শিক্ষার্থী
বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা